সাতক্ষীরা শ্যামনগরে এগিয়ে চলছে যমুনা খননের কাজ। ভাঙা হচ্ছে সেই নীলকমল ভবন। যমুনা খননের প্রধান বাঁধা ছিলো নীলকোমল ভবন। খালের এক তৃতীয়াংশ জুড়ে এই ভবন গড়ে তোলা হয়েছিলো।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শুরু হয় আদি যমুনা খননের কাজ। ১০ জুন শুরু হয় নীলকমল ভবন ভাঙার কাজ। রোববার (১১ জুন) সকাল থেকে পুনরায় কাজ চালাতে সক্ষম হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে অপসারণ করা হচ্ছে নদীর দুধারে জবরদখলকৃত অবৈধ স্থাপনা।
এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শ্যামনগর সদর ইউপির পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য মাইকিং করা হয়।
সাতক্ষীর পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে গতবছর ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীণ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (প্রথম পর্যায় দ্বিতীয় সংশোধনীর অধীনে) তিন কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরার ছোট যমুনা নদীর ১৫ দশমিক ৯০ কিলোমিটার পুনঃখননের কাজ গ্রহণ করেন বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস ব্রাদার্স।
কার্যাদেশ অনুযায়ী ২৭ অক্টোবর থেকে খনন কাজ শুরু করে ৩০ মের মধ্যে শেষ করার কথা। তাছাড়া তলদেশ ২৮ ফুট ও উপরের অংশে ৮০- ১০০ ফুট চওড়া রেখে খনন করার কথা। কিন্তু শ্যামনগরের জবর দখলকারিদের যোগসাজসে অসম্পূর্ণ ও ক্রুটিপূর্ণ তালিকা প্রকাশ করে খাল খনন কাজ শুরু করলে স্থানীয় জনগণ ও সুশীল সমাজের নেতারা তাতে বাধা দেয়। প্রকৃত অবৈধ স্থাপনাকারীদের সনাক্তের মাধ্যমে যমুনা খননের দাবি জানানো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত বুধবার শ্যামনগর উপজেলা সদরের নকীপুর শ্মশান এলাকায় যমুনা খনন চলছে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে। যমুনা নদীর পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১১টি দোকান ঘর ভাঙা হয়।
টিএইচ